নিহত নারী সাংবাদিকের দুটি পরিচয়ের নাটকীয়তা; মুখ খুললেন ঘনিষ্ট বান্ধবী

মোট দেখেছে : 297
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

বেইলি রোডে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া এক নারী সাংবাদিকের সনাতন ধর্মী এবং মুসলিম দুটি পরিচয় সামনে আসায় এক ধরনের ধোয়াশা তৈরি হয়। যার দরুন এখন পর্যন্ত লাশ হস্তান্তর সম্ভব হয়নি ওই নারী সাংবাদিকের। লাশঘর আর থানা পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মরদেহ নিতে পারছে্ন না নিহতের পরিবার। সকল ধরনের পরিচয় শনাক্তকারী কাগজপত্র প্রদান করে নিহত এই সাংবাদিককে তাদের মেয়ে বলে প্রথম থেকেই জোর দাবী জানিয়ে আসছিল একটি পরিবার। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসন্ধানে পরিচয় শনাক্তকারী এসব কাগজের সম্পুর্ন সত্যতা পাওয়া গেছে। মুসলিম পরিবারটির দেয়া সকল কাগজপত্রের সাথে মিল পাওয়া গেছে এই নারী সাংবাদিকের। পরিবারের দেয়া তথ্যনুযায়ী নিহতের নাম বৃষ্টি খাতুন।

তবে কেন বৃষ্টি খাতুন নিজের নাম বদল করে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী রেখেছিলেন সে প্রশ্নের উত্তরে মুখ খুলেছেন বৃষ্টি খাতুনের ঘনিষ্ট এক বান্ধবি। কেন মুসলিম হয়েও সনাতন ধর্মের নাম ব্যবহার করেছিলেন বৃষ্টি সে প্রশ্নের উত্তরে একটি গণমাধ্যমে নিহতের বান্ধবি জানান, প্রেম ঘঠিত কারনেই মূলত সনাতন ধর্মের চর্চা শুরু করেন বৃষ্টি। এই ব্যাপারে কয়েক দফায় বৃষ্টি নিজেই কিছু সমস্যার কথা জানান তার এই বান্ধবিকে। বয়সে বড় হওয়ায় সময়ে সময়ে বড় বোনের মত গাইড করার চেষ্টার কথাও বলেছেন তার এই বান্ধবি। বৃষ্টির সাথে এক পর্যায়ে তার পরিবারে এইসব বিষয় নিয়ে ঝামেলা হলে নিহতের মায়ের সাথেও কথা বলেন তিনি।

এদিকে রমনা কালিমন্দিরের সভাপতির ভাষ্যনুযায়ী, অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামেই বৃষ্টি খাতুনকে চিনতেন তারা। মন্দিরে সবসময় যাতায়াতও ছিল এই নারী সাংবাদিকের। এমনকি মন্দিরের বিভিন্ন কার্যকলাপের সাথেও সম্পৃক্ততা ছিল তার।

উল্লেখ্য, অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে একটি একটিভ ফেসবুক একাউন্ট ব্যবহার করে আসছিলেন বৃষ্টি। যেখানে তার জীবনযাত্রার রেগুলার পোস্ট আপলোড দিতেন। সেখানে কাজের জায়গায় 'দ্য রিপোর্ট লাইভ" নামে একটি সংবাদমাধ্যমে কাজ করতেন বলে জানা যায়। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন ছবিতে সনাতন ধর্মের বিভিন্ন উক্তি ব্যবহার করতেও দেখা যায় বৃষ্টি খাতুনকে।

প্রসঙ্গত, নিহতের পরিবারের জোর দাবী থাকলেও লাশ হস্তান্তরের ব্যাপারে কোন ধরনের ঝুঁকি নিতে চায়না পুলিশ। বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিবারকে ডিএনএ টেস্ট নিশ্চিতের জন্য ইতিমধ্যেই আহবান জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ ব্যাপারে বৃষ্টি খাতুনের বাবা আগারগাও নিবাসী সবুজ শেখ প্রশাসনকে সম্পুর্ন সহযোগিতার ভিত্তিতে মেয়ের লাশ শনাক্ত করে পরিবারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় একাত্মতা প্রকাশ করেন।

আরো দেখুন

সর্বশেষ ফটো